মোঃতায়েফ তালুকদার ঃকরোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পরা নিজ নির্বাচনী এলাকা ভোলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩৬ হাজার খেটে খাওয়া অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।যা আয়মীলীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রচার করা হয়েছে।
সারাদেশে কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে গরিব মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা।
তার ধারাবাহিকতায় ১লা এপ্রিল থেকে টানা অদ্যবধি পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে নগদ অর্থ ও খাবার সামগ্রী ৩ ধাপে এই ৩৬ হাজার পরিবারের মাঝে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে বিতরন করেন। এছাড়াও তিনি দুই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড রাব বিতরন সহ জীবনের ঝুকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের মাঝেও পিপিএ বিতরন করেন।
এমপি মুকুল এর ১ম ও ২য় দফায় বিতরনকৃত ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিল- ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবন ও ২ টি করে সাবান। ৩য় দফায় তিনি যে ত্রান সামগ্রী দিয়েছেন তাতে যোগ করেন নতুন কিছু। সেখানে ছিল- ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, আধা কেজি চিড়া, ২ প্যাকেট সেমাই, ১ লিটার লিকুইড দুধ, আধা কেজি খেজুর ও ১ কেজি চিনি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে এমপি মুকুল বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার ২ উপজেলায় ১৮ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে দৌলতখান উপজেলার ২ টি ইউনিয়ন মূল ভূ-খন্ড থেকে সম্পুর্ণ বিচ্ছন্ন। আমি নির্বাচনের সময় প্রতিটি মানুষের দোড় গিয়ে ভোট চেয়েছি। তেমনি করে আজ তাদের এই দুঃসময়ে পাশে দাড়ানো আমার একান্ত দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের ভয়ে আমি ঘরে বসে থাকি নি। প্রতিদিনই ছুটে বেড়িয়েছি আমার নির্বাচনী এলাকার এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা গুলো ছিল সেগুলো নিজে মাইক হাতে নিয়ে প্রচার করেছি। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছি। কন্টোল রুম চালু করে খাবার সামগ্রী পাঠিয়েছি অসংখ্য পরিবারের কাছে, যাদের পরিচয় গোপন রেখেছি। এমপি মুকুল বলেন, যতদিন এই পরিস্থিতির উন্নতি না হবে ততদিন আমি খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের পাশে থাকব।